নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন কর্মসূচিতে এগিয়ে এসেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলীয় নেতাকর্মীদের দেয়া নিজস্ব অর্থায়নে হারিয়ে যেতে বসা নগরীর বির্জা খাল খনন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন তারা। বিশ দিনে খালটির খননকাজ শেষ করার আশাবাদ মহানগরীর আমিরের। অন্যদিকে খালে ময়লা-আবর্জনা ফেললে জেল-জরিমানার মাধ্যমে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দেন মেয়র।।
‘সবার সহযোগিতায় বির্জাখাল পাবে প্রাণ’—এই স্লোগান নিয়ে চট্টগ্রামে প্রথমবারের মতো কোনো রাজনৈতিক দল হিসেবে নিজস্ব অর্থায়নে খাল খনন কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
নগরের বাকলিয়াস্থ হারিয়ে যেতে বসা বির্জাখালকে পুনরুজ্জীবিত করতে নগর জামায়াতের উদ্যোগে এই ব্যতিক্রমী কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় কোটি টাকা।
শনিবার (১৯ এপ্রিল) সকালে ইছহাকের পুল এলাকার অছি মিয়া দোস্ত ভবনের পাশে মাঠে এক গণসমাবেশের মাধ্যমে কার্যক্রমটির উদ্বোধন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
সভাপতিত্ব করেন নগর জামায়াতের আমীর, সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী।
মেয়র শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগর কারো একার শহর নয়। এটি আমাদের সবার। তাই একসাথে কাজ করতে হবে। আমি জামায়াতকে এই জনকল্যাণমূলক উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানাই।’
সভাপতির বক্তব্যে জামায়াত নেতা শাহজাহান চৌধুরী বলেন, ‘আমরা রাজনীতি করতে চাই জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে, সেবার মাধ্যমে। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে নগরবাসীর উন্নয়নে কাজ করতে চাই।’
তিনি আরও জানান, জামায়াতের আড়াইশ থেকে তিনশ নেতাকর্মী প্রতিদিন স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করবেন, যাতে বিশ দিনের মধ্যেই পুরো খাল পরিষ্কার ও পুনঃখনন শেষ হয়।
জানা গেছে, নগরীর ৭১টি খালের মধ্যে ১৪টির আর কোনো অস্তিত্ব নেই। বির্জাখালও ছিল সেসবের একটি ময়লা-আবর্জনা ও দখলে খালটি একরকম বিলুপ্তই হয়ে গিয়েছিল। দীর্ঘ সময় পর এটিকে উদ্ধার ও সচল করতে মাঠে নামলো জামায়াতে ইসলামী।
খালটি পুনরুদ্ধার হলে বাকলিয়া ও আশপাশের কয়েকটি ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ অনেকাংশেই লাঘব হবে বলে আশা করছেন স্থানীয়রা।