ফটিকছড়ি প্রতিনিধি :
নিষিদ্ধ ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি প্রজাতির গাছের চারা গাছ ধ্বংস করেছে ফটিকছড়ি উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু সালেকের নেতৃত্বে বিভিন্ন নার্সারিতে অভিযান চালিয়ে এসব চারা গাছ কেটে ধ্বংস করা হয়।
এসময় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে এই কার্যক্রমের আওতায় ধ্বংস করা হবে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজারটি চারা। এসময় সরবরাহকারী ৩২টি ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারির মালিকদের প্রতিটি চারার জন্য ৪ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে ফটিকছড়ি পৌরসভার দুই নার্সারি মালিকের হাতে প্রথম দফায় নগদ সহায়তা তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী। এসময় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু সালেক, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার অদ্বৈত রায়সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের বন-১ অধিশাখা থেকে গত ১৫ মে আগ্রাসী প্রজাতির ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা রোপণ, উত্তোলন ও বিক্রয় নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী আকাশমনি ও ইউক্যালিপটাস চারা উৎপাদনকারী বেসরকারি ব্যক্তি মালিকানাধীন নার্সারি মালিকদের ক্ষতিপূরণ সহায়তা পুনর্বাসন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর আওতায় উপজেলা জুড়ে নার্সারিগুলোতে অভিযান চালিয়ে ক্ষতিকর এই গাছ ধ্বংস করা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবু সালেক বলেন, সারাদেশের ন্যায় ফটিকছড়ির বিভিন্ন নার্সারিতে উৎপাদিত ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির চারা ধ্বংস করে চারা প্রতি চার টাকা হারে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজারটি চারার ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হয়। এছাড়া নার্সারি মালিকদের নিকট থেকে ভবিষ্যতে আর ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনির চারা উৎপাদন ও বিপণন করবেন না মর্মে অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়। পাশাপাশি জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আগ্রাসী এসব প্রজাতির বদলে নারিকেল, আম, কাঁঠাল, নিম, তালসহ নানা দেশি গাছের চারা বিনামূল্যে বিতরণ করছে কৃষি মন্ত্রণালয়।