প্রতিদিনের চট্টগ্রাম ডেস্ক
মঙ্গলবার দুপুর ২.৩০ এ চাকসু ভবনের সামনে চাকসু নির্বাচন ও চাকসু গঠনতন্ত্র সংস্কার প্রস্তাবনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
শাখা বায়তুলমাল (অর্থ) সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় শাখা সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীমের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ছাত্রশিবির কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদের সদস্য, চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি, ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম হোসেন রনি, চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী খুররম মুরাদ।
অনুষ্ঠানে গঠনতন্ত্র সংস্কার প্রস্তাবনা পেশ করেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি মোহাম্মদ আলী। প্রস্তাবনায় চাকসু গঠনতন্ত্রে নারী অধিকার বিষয়ক সম্পাদক, গবেষণা ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন সম্পাদক, ধর্ম ও সম্প্রীতি সম্পাদক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক সহ একাধিক নতুন পদসৃষ্টি, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক পদের একত্রীকরণ এবং পূর্বের কয়েকটি পদের বিলুপ্তি ও সম্পাদকদের কার্যাবলী নবায়ন সহ তিনজন নির্বাহী সদস্য রাখার প্রস্তাব করা হয়।
সমাপনী সেশনে চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা যেভাবে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করেছে, ছাত্রদের অধিকার আদায়ের প্রধান প্লাটফর্ম চাকসু কার্যকর করার দাবিতেও শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে।
চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাংগঠনিক সম্পাদক খুররম মুরাদ বলেন, চাকসু কার্যকর হলে ছাত্রদের জন্য গনতান্ত্রিক উপায়ে ছাত্ররাজনীতি চর্চার সুযোগ বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে চাকসু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেন, ‘আমরা গত ২৪ সেপ্টেম্বর’২৪ তারিখে প্রশাসন বরাবর ২৪ দফা দাবি দিয়েছিলাম। যেখানে আমরা চাকসু নির্বাচনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করার আহবান করেছি। কিন্তু দুখঃজনকভাবে বলতে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নানান অজুহাতে গড়িমসি করে এখনো দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট আগামী ১৪ মে ৫ম সমাবর্তন শেষে ১৫ মে থেকে ২৫ মে এর মধ্যে চাকসু গঠনতন্ত্রের খসড়া কপি প্রস্তুত, সকল অংশীজনের সাথে মতবিনিময়, চাকসুর পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ প্রদান করার আহবান করছি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা জুনের মধ্যেই চাকসু নির্বাচন দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
প্যানেল তৈরির প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা প্যানেল তৈরির বিষয়টি উন্মুক্ত রাখছি। অন্যান্য সংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং নারী ও সকল ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের নিয়ে যোগ্যতার ভিত্তিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্যানেল তৈরি হতে পারে।
সর্বশেষ তিনি সকল সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে প্রোগ্রাম সমাপ্ত করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের শিক্ষা সম্পাদক, অফিস সম্পাদক, প্রকাশনা সম্পাদক, মানবসম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক, ছাত্রকল্যাণ সম্পাদক, সাহিত্য সম্পাদক, প্রচার সম্পাদক, দাওয়াহ সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক, কলেজ কার্যক্রম সম্পাদক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এবং হল ও অনুষদ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।